Untitled

কতবার জাহান্নামের আগুনে পোড়াতে চেয়েছ আমাকে
কতবার বুরুজ পর্বত থেকে ঝুলিয়ে রেখেছ
তোমার তরবারি
কত দিন ক্ষুধার্ত উদর নিয়ে কেঁদে কেঁদে
রাত করেছি কাবার
কত লক্ষ বছরের পাথর ঠেলেছি
পাহাড়ের ঢাল ঠেলে কেবলই উজানে
কতবার তোমার ইগল এসে ঠুকরে ঠুকরে
খেয়েছে নাড়িভুঁড়ি

তোমাকে দেখেছি অলিম্পাসের তুষারধবল
চূড়ার মহিমায়
তুমি ধরে আছ দুই হাতে বজ্র আর অশনির চাবুক
তুমি সেমিলির ঘরে যখন স্বর্ণবৃষ্টি
হয়ে নেমেছিলে, অপার তৃষ্ণায়
তোমার প্রেমের দান ভেবে ঘরে নিয়ে-
ছিলাম আগুন।

তোমার কাছে চেয়েছিলাম জীবনজিজ্ঞাসার উত্তর
তুমি আকাশ থেকে ভয়াল শব্দে ছুড়ে দিলে
দুইখণ্ড পাথর
দশটি নিষেধ দিলে, চেয়েছিলাম পিপাসার জল
রক্তের কম্বল দিলে, চেয়েছিলাম মিলনের হাত
তীব্র দ্রংষ্ট্রার ঘায়ে আমাকে ঝুলিয়ে রাখলে-
দুই পাশে দুজন তস্কর!

গ্যালিলির জলে রক্তমাখা হাত ধুয়ে নিয়ে
তোমার স্তোত্র পড়তে বসেছি খড়ের আগুনের আলোয়
তখন পূর্বাকাশে মন্দিরা বাজাচ্ছিল কার দুটি মোহন হাত
কেউ কেউ তোমার নাম করে গালমন্দ করতে করতে
পাহাড়ে ঢুকে গিয়েছিল, আর ফেরেনি
দুটি শহর আগুনে ছাই হলে পর স্বনিযুক্ত পরিত্রাতারা
তোমার নামের জয়ধ্বনি দিচ্ছিল দশ দিগন্তে
আমি তোমার নাম জিহ্বার অগ্রভাগে এনে
ছুড়ে দিলাম নিষ্ঠীবনের সাথে
আমাকে ক্ষমা করার কোনো অবকাশ তোমাকে দেব না
বলে গর্জমান মানুষের স্রোতে মিশে গেলাম
কেননা মানুষের গায়ের গন্ধ তখন আমার কাছে
পারিজাত কুসুমের চেয়েও আকর্ষণীয়

তোমার ইগলেরা জানি আজও আমাকে খুঁজছে।

Rate this poem: 

Reviews

No reviews yet.