কবিতার জন্যে আমি গিয়েছিলাম মণিরামপুরে কাওরপাড়ায়।
সেখানের স্বামীরা বছরচুক্তির চাকরিতে শূকর চরায় অন্য এলাকায়।
স্ত্রীরা বাড়ি পাহারা দেয় আর লালন করে ভ্রূণ।
তাই তিরিশ না পেরোনো রমণীর কোলেও খেলা করে ছয়টি মানবশিশু।
বছরান্তে স্বামীর ঘরে ফেরাই স্ত্রীদের একমাত্র উৎসব।
তাই জন্মনিয়ন্ত্রণের সামগ্রী তারা বালিশের নিচ থেকে বের করে আনতে ভুলে যায়।
কাওরাপাড়ার ছেলেরা বাজারে গেলে আলাদা কাপে চা খেতে পায়।
প্রতিটি চায়ের দোকানি দুতিনটে কাপের নিচে লালরঙ লাগিয়ে রেখেছে।
কাওরাপাড়ার ছেলেরা এলে খেতে দেবে।
কাওরাপাড়ার ছেলেমেয়েরা এখন স্কুলে যায়।